করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সবকিছু।

তবে অর্থবছর শেষ হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও হিসাব সংক্রান্ত কিছু অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শুক্রবার (২৫ জুন) জারি করা সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

সে অনুযায়ী ব্যাংকও বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হতে পারে বলে আশা করছেন অনেকেই। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংক খোলা থাকবে কি না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে প্রজ্ঞাপন জারি হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

তিনি বলেন, ‘সরকার শনিবার প্রজ্ঞাপন জারি করলে প্রজ্ঞাপনে কী লেখা থাকে, সেটা দেখে তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।’ প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা ব্যতীত সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে আজ শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।